মাটিরাঙ্গায় আক্রান্ত আদিবাসীদের সহায়তায় নাগরিক কমিটি কর্তৃক সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন
তাইন্দং-এ আক্রান্ত আদিবাসী এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনোত্তর মাটিরাঙ্গায় আক্রান্ত আদিবাসীদের সহায়তায় নাগরিক কমিটি-২০১৩ কর্তৃক
সংবাদ সম্মেলন
তারিখ ঃ ৩১ আগষ্ট শনিবার ২০১৩, সকাল ১১টা
স্থান ঃ সাগর-রুনি মিলনায়তন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সেগুনবাগিচা, ঢাকা
তাইন্দং, মাটিরাঙ্গা, খাগড়াছড়ি। বগা পাড়া, সর্বেশ্বরপাড়া, মনুদাস পাড়া সহ অনেকগুলো আদিবাসী পাড়া সবুজ পাহাড়ে প্রকৃতির সাথে সহবস্থান ও সংগ্রাম করে মাঠে ফসল ফলিয়ে যারা জীবিকা নির্বাহ করে। সেই তাইন্দং এর সবুজ মাটিতে আজ কালো দাগ, প্রাণচঞ্চল এলাকাটি আতংক এবং ভয়ে আজ শামুকের মত নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে। বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার ভূমিকায় তারা নেই, নেই স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে। পায়ের নিচে মাটি নেই। মাথার উপর নেই ছায়া, ঘর কিংবা আশ্রয়। আবারও আক্রান্ত হবার ভয়। নিরাপত্তাহীনতা আর অনিশ্চয়তার জীবন। আশংকা প্রতি পদে পদে। এই নিয়ে তাদের বেচে থাকা। কারন, আর কিছু না। নিজ দেশের ভিন্ন সংস্কৃতির কিছু অ-মানুষের সশস্ত্র হামলা ও তান্ডব, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট যা ইতোমধ্যে আপনারা কিছুটা অবগত হয়েছেন। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে আমরা এই ঘটনার পূর্বাপর বিষয়াবস্তু সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আদিবাসী জনগণ, বাঙালি, সেটলার বাঙালি, স্থানীয় প্রশাসন এর সাথে আলাপচারিতার মাধ্যমে বেশ কিছু বিষয় আমাদের পর্যবেক্ষণে প্রতিভাত হয়েছে যা আপনাদের সদয় দৃষ্টি গ্রাহ্য করবার চেষ্টা করছি।
প্রিয় গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ
৩রা আগস্ট ২০১৩, বিকাল তিনটা। তাইন্দং এর ১৩ টি জুম্ম অধ্যুষিত পাড়ায় সেটলার বাঙালিদের সংঘবদ্ধ সাম্প্রদায়িক হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনা সংঘঠিত হয়। প্রেক্ষাপট গতানুগতিক অপপ্রচার এবং গুজব। কামাল হোসেন নামের একজন সেটলার বাঙালি আদিবাসী কর্তৃক অপহৃত। ব্যস, সকল বাঙালি সংঘবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক শ্লোগানের মাধ্যমে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিরীহ পাহাড়ীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ৩৪ টি বাড়ি জ্বালিয়ে ছাইভস্ম করে। ২৫৯ পরিবার তছনছ করে সকল সম্পদ লুট করে, আর প্রাণভয়ে পালাতে গিয়ে ঘরবাড়িসহ ক্ষতিগ্রস্থ হয় আরও ৯০২ টি পরিবার। সেই সাথে হামলাকারীরা জনসেবা বৌদ্ধ মন্দির আক্রমণ করে। তারা বুদ্ধ মূর্তি ও দানবাক্সের টাকা চুরি করে নিয়ে যায়, এমনকি গৌতম বুদ্ধের বেশ কয়েকটি মূর্তিও দুর্বৃত্তরা ভেঙ্গে দেয়। হামলা ও লুটপাট থেকে বাদ যায়নি ইউনিসেফের সাহায্যপুষ্ঠ ৩টি পাড়া শিক্ষাকেন্দ্রও।
হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে ১২টি গ্রামের তিন হাজার পাহাড়ি বাড়িঘর ছেড়ে ভারত সীমান্তে নো-ম্যানস ল্যান্ডে, পার্শ্ববর্তী পানছড়ি উপজেলায় এবং বনে-জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। ঘটনার পর সরকার ও বিজিবির দেয়া জানমালের নিরাপত্তার আশ্বাস এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রতিশ্রুতিতে পালিয়ে যাওয়া পাহাড়িরা নিজ গ্রামে ফিরে আসে। তাদের সঠিক পুর্নবাসন এবং উপযুক্ত ত্রাণ প্রায় উপেক্ষিত, বলা যায় অপ্রতুল। কিছু পরিবারকে দুই কিস্তিতে মোট ১৬ হাজার পাঁচশত টাকা, ঢেউটিন, ২০ কেজি চাল, ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ীরা এখনও খোলা আকাশে নিচে, অর্ধাহারে-অনাহারে, রোগে আর শোকে দিন যাপন করছে। গৃহহীন হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে দুই মাস বয়সী শিশু আশামনি চাকমা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। উল্লেখ্য, বৌদ্ধ মন্দিরের ধ¦ংসযজ্ঞ, বৌদ্ধমূর্তি চুরি এবং শিশু আশামনি চাকমার এই ধরণের মৃত্যু বিষয়ক কোনো মামলা থানা গ্রাহ্য করেনি। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্যই মামলা হিসেবে না নিয়ে উভয় ক্ষেত্রেই ঘটনাগুলো জিডি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ
ঘরবাড়ি আগুনে পোড়ানো এব লুটপাট বিষয়ক মামলাটি থানা আমলে নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের মতে, এ পর্যন্ত অভিযুক্ত ১২ জন বাঙালিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও হয়েছে। মজার বিষয় হল অপহরণের গুজব ছড়ানোর জন্য যে মোটরসাইকেল আরোহীর নাম প্রচার করা হয়েছিল সেই কামাল হোসেনকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির মাধ্যমে এটি যে পাহাড়িদের উপর হামলা করার জন্য পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র তা স্বীকার করেছে। আমরা জেনেছি ২৯ জুলাই থেকে হামলার আগের দিন পর্যন্ত তাইন্দং বাজারে আক্রমণকারীরা উগ্রসম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। ৩১ তারিখে সেটলারদের একটি মিছিল পাহাড়ি গ্রামের দিকে অগ্রসর হলে অনেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকছি আশ্রয় নেয় এবং মূল হামলাটি হয় আগস্টের ৩ তারিখ। কিন্তু স্থানীয় বিজিবি এ বিষয়ে প্রশ্নবোধক ভূমিকা রেখেছে বলে পরিদর্শক দলের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। কারণ আক্রান্তরা আমাদের জানান, হামলার দিনে বিজিবির সমঝোতার ডাকে পাহাড়িরা ক্রসিং নামক স্থানে আসলে বিজিবির সামনেই সেটলার বাঙালিরা অপহরণ নাটকটি কেন্দ্র করে পাহাড়িদের মারধর করে। সে সময় বিজিবির সদস্যরা কোন ভূমিকা পালন করেনি বলে পাহাড়ীরা পরিদর্শক দলের কাছে অভিযোগ করে।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ
পাহাড়িদের উপর হামলা নতুন কোন বিষয় না। আবার তাদের নিরাপত্তা এবং ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দেয়া হয়েছে বহুবার। একই এলাকায় ১৯৮১ সালে বাঙালি সেটলার কর্তৃক ত্রিপুরাদের গ্রামে হামলা, ১৯৮৬ সালে রামবাবু দেবা গ্রামে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেইসময়ও সীমান্ত পাড়ি দিতে হয়েছে পহাড়ী জনগণকে। বছরের পর বছর মানবেতর শরণার্থী জীবন কাটাতে হয়েছে। শরণার্থী ক্যাম্পের সেই দুঃসহ জীবন এখনও অনেকের কাছে বেদনার ক্ষত হয়ে রয়ে গেছে। জীবন যুদ্ধে বয়সের ভারে ন্যূজ ৭০ উর্ধ্ব দুই প্রৌঢ় আমাদের জনালেন ৭১-এর পর তিন তিনটি বার ভিটেমাটি পুড়ে ছাই হওয়ার বেদনার বাস্তব কাহিনী। মৌখিক প্রতিশ্রুতি, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থীদের সাথে ২০ দফা চুক্তি এবং ১৯৯৭ এর পার্বত্য শান্তি চুক্তি কোনোটিই এসকল হামলা নিপীড়ন বন্ধ করতে পারেনি। পাহাড়িদের জীবন থেকে সুখ শান্তি ও নিরাপত্তা কেড়ে নেয়া হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে তারা নিজ ভূমিতে পরবাসী। নিরাপরাধ হয়েও কয়েদির জীবন এই দুঃখী মানুষদের। ১৯৮১ ও ৮৬ সালের পর মাটিরাঙ্গার ৯০ ভাগ জমি বেদখল হয়েছে, সেখানে ২৪টি সেটলার বাঙালিদের গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বর্তমানে ৪১ হাজার বাঙালি ভোটার। আর পাহাড়ী ভোটার মাত্র ২৬ হাজার।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
মাটিরাঙ্গায় পাহাড়ী অধিবাসীর সংখ্যা উদ্বেগগজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। অতএব এই সহিংস ভয়াবহ হামলার মূল উদ্দেশ্য পাহাড়ীদের অবশিষ্ট ১০ ভাগ জমির দখল নেয়া। অর্থাৎ ইচ্ছাকৃত সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির মাধ্যমে আদিবাসীদের তাড়িয়ে তাদের জায়গা জমি দখল করা। যা হবে অনাকঙ্খিত ও মানবাধিকারের চরম লঙ্গন।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ:
আমাদের পর্যবেক্ষণসমূহ নি¤œরূপ:
১) এভাবে বার বার হামলার ফলে আদিবাসীদের উদ্বাস্তু হয়ে ভারতীয় সীমান্তে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। যা প্রত্যেক বাংলাদেশির জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। উপরন্তু বৌদ্ধমূর্তি ভাঙা ও চুরি করা আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের গৌরবকে ম্লান করে দেয়।
২) একই দেশে বসবাস করে শুধু ভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিম-লের পরিচয়ের কারণে জতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে পাহাড়ী আাদিবাসীদের উপর এ ধরনের নির্যাতন এবং যার ফলশ্রুতিতে যে মানসিক আতঙ্ক নিয়ে পাহাড়ীদের এইদেশে বসবাস করতে হচ্ছে তা বাংলাদশের সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থি।
৩) যেহেতু পাহাড়ীদের ভূমি দখলের প্রক্রিয়া এবং হামলা প্রকৃতি সময় ও স্থান ভেদে একই, তাই এই ঘটনার ক্ষেত্রেও গুজব বা প্রচারণা ছড়ানোর সাথে সাথেই এ বিষয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা এবং আন্তরিকতা জরুরি ছিল। প্রশাসনিক তৎপরতা যথাসময়ে নেওয়া যায়নি কিংবা হয়নি। ফলে এই ধরণের একটি ম্যাসিভ ধ্বংসযজ্ঞ এড়ানো যায়নি। সবচেয়ে প্রনিধানযোগ্য এই এখানে হমালার পূর্বে বিভিন্ন মসজিদের মাইক ব্যবহার করে বাঙালিরা একত্রিত হয়েছিল এবং মসজিদেই সভা করেছিল। কাজেই ধর্মকে আশ্রয় করে এ ধরণের হামলা রাজনৈতিক মতাদর্শকেও অতিক্রম করছে বলে আমাদের পর্যবেক্ষণ। তাই এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্ষমতামুখী প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেইকগেইম মারাত্মকভাবে কাজ করে এবং অপরাধীরা আড়ালে চলে যায়।
৪) বাজারে যাওয়ার পথে আদিবাসীরা মারধরের ভয়ে উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিতে পারছেন না। নিারপত্তার অভাবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছেনা। আদিবাসী জুম্মদের মধ্যে স্থায়ী আতঙ্ক বিরাজ করছে। যার ফলাফল হতে পারে আর কয়েক বছরের মধ্যে এই জনগোষ্ঠীর বিলুপ্তি। যা রাষ্ট্রের জন্য শুভ সংবাদ নয়। সভ্যতার মাপকাঠিতে তা মোটেই ইতিবাচক বার্তা বহন করেনা।
৫) তাইন্দং-এ হামলা সময় তানক্কাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হাইস্কুলের শিক্ষক আবদুল আজিজ মাস্টার এবং সাহেব সরদার পাড়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেন নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে ্এলাকাবাসী স্পষ্ট অভিযোগ করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শিক্ষকদের এহেন পরিচিতি ও কর্মকা- সমাজের জন্য লজ্জাজনকও বটে।
৬) স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে তাইন্দং-এ একটি শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। মজার বিষয় হলো সমাবেশের স্থান নির্ধারিত ছিল একটি মাদ্রাসা। যেখানে অধিকাংশ পাহাড়ীরা উপস্থিত হননি। এক্ষেত্রে পাহাড়ে নিয়োগকৃত প্রশাসনের কর্তব্যক্তিদের ‘মাইন্ড সেট আপ’-এর বিষয়টিকেও আমাদের ভাবনায় নিয়ে আসতে হচ্ছে। খাগড়াছেিড়তে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে মতবিনিময়কালে উভয় প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা বার বার কথিত চাঁদাবজিকেই আক্রমণের কারণ হিসেবে উপস্থাপন করার প্রয়াস আমরা পরিলক্ষিত করেছি।
৭) আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে কথিত চাঁদাবাজি বা অপহরণ নাটক নয়, পাহাড়ী আদিবাসীদেক্ষ ভূমি দখল করাই ছিল হামলার মূল লক্ষ্য। যদি প্রশাসনের কথিত চাঁদাবাজির বিষয়টিও আমলে নেয়া হয় তা হলে প্রশাসনের নিকট আমাদের প্রশ্ন- চাঁদাবাজদের গ্রেফতার বা আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা কার উপর দায়িত্ব বর্তায়? আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আদিবাসী জনগণের প্রতি এই নেতিবাচক মানসিকতা পাহাড়ে ন্যায্যতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে এক বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জুম্মদের জীবন জীবিকা সুরক্ষার স্বার্থে এবং তাইন্দং-এ ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের জন্য আমাদের সুপারিশসমূহ নি¤œরূপ:
ক) সংযুক্ত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদান সহ তাদের ঘরবাড়ি পুননির্মাণ করে প্রত্যেক পাহাড়ী পরিবারকে যথাযথ পুনর্বাসন করা হোক।
খ) বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে হামলার ষড়যন্ত্রকারী, ইন্ধনদাতা ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারীদেরকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক।
গ) বৌদ্ধ বিহার পুননির্মাণ, বৌদ্ধমূর্তি প্রতিস্থাপন এবং ভিক্ষুদের নিরাপত্তা প্রদান করা হোক।
ঘ) পলিশকে সক্রিয় করে স্থানীয় নিরাপত্তা প্রশাসনের আন্তঃসমন্বয় জোরদার করা সহ বাঙালি ও আদিবাসীদের মিশ্রণে পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক পাহাড়ে মিশ্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হোক।
ঙ) সর্বোপরি ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০০১ বর্তমান সংসদের মেয়াদকালীন সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী সংশোধন করা হোক। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ:
আমাদের এই সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের জন্য কমিটি কর্তৃক নি¤েœাক্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করছিঃ
১) পার্বত্য চ্ট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাথে বৈঠক ।
২) পর্যায়ক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে সাক্ষাৎ।
৩) আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীদের সহায়তার জন্য তহবিল গঠন।
৪) পরবর্তীতে ঢাকায় সর্বস্তরের নাগরিকদের সাথে নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করা।
আবারও আমাদের ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মাটিরাঙ্গায় আক্রান্ত আদিবাসীদের সহায়তায় নাগরিক কমিটি-২০১৩
সাচিবিক যোগাযোগ ঃ আইইডি কার্যালয়, ১৩/১৪, বাবর রোড, ব্লক-বি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।