টেকনাফের হ্নীলা বৌদ্ধ বিহার সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন
তদন্ত: ২১-২২ জানুয়ারী ২০১২
গত ২১-২২ জানুয়ারী ২০১২ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় বৌদ্ধ মন্দিরের ভূমি বেদখলের ঘটনার সরেজমিন তদন্তের জন্য ঢাকার সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদলসহ কাপেং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নাগরিক প্রতিনিধিদলের একটি সরেজমিন পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়। নাগরিক প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন-
১. পঙ্কজ ভট্টাচার্য, আহবায়ক, গণঐক্য ফোরাম কমিটি এবং সহ-সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন,
২. রোবায়েত ফেরদৌস, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
৩. বিপ্লব রহমান, সাংবাদিক, কালের কণ্ঠ,
৪. জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রদায়ক, দ্য ইনডিপেনডেন্ট,
৫. রাশেদ রাইম, সাংবাদিক,
৬. জাগরণ চাকমা, সাংবাদিক, দ্য ইনডিপেনডেন্ট,
৭. নোমান চৌধুরী, সাংবাদিক, দ্য ডেইলী সান,
৮. খাদিজা ফাল্গুনী, প্রদায়ক, প্রথম আলো,
৯. সৃজনী ত্রিপুরা, ডকুমেন্টশন অফিসার, কাপেং ফাউন্ডেশন এবং
১০. দীপায়ন খীসা, ভাইস-চেয়ারপার্সন, কাপেং ফাউন্ডেশন।
উল্লেখ্য যে, ২০০১ সাল থেকে হ্নীলা ইউনিয়নের রাখাইন সম্প্রদায়ের দুইশত বছরের পুরানো বৌদ্ধ বিহারটি দখল করার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বৌদ্ধ বিহারের ভূমি বেদখলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে নানা দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
জানা যায়, ২০০১ সালে হ্নীলা বৌদ্ধ(সেন প্রু ক্যাং) বিহারের উ উপঞ্ঞা বংশ মহাথেরোকে ভুল বুঝিয়ে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে একটি চুক্তি সম্পাদন করেন। বিহারের ১১ একর ভূমির উপর রোপনকৃত বৃক্ষের লাভের অংশ ভাগ করার উদ্দেশ্যে ২৭ জুলাই ২০০১ তারিখে ১৬ নং চুক্তিটি করা হয়েছিল। চুক্তিতে উল্লেখ না থাকা স্বত্তেও চুক্তিকে ভিত্তি করে প্রভাবশালী মহল গাছ কাটা শুরু করে। উ পঞ্ঞা বংশ মহাথেরা যখন বাঁধা দিতে গেলেন তখনই চুক্তির আসল রহস্য বের হয়ে আসে এবং তিনি তার ভুল বুঝতে পারেন। অতঃপর তিনি ২৭ মার্চ ২০০২ সালে কক্সবাজারের নোটারি পাবলিক অফিসারের কাছে যান এবং উপরিউক্ত ১৬ নং চুক্তিটি বাতিল করে আর একটি চুক্তির জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন।কিন্তু ভূমি দস্যূরা তাদের কাজ থামিয়ে রাখেনি। ভূমি দখলের পাশাপাশি তারা ডাকাতি, পূজারীকে মারধর, অশোভন আচরণ, ভয় দেখানো এবং ঘরবাড়ী তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকার লোকদের বরাতে জানা যায় বাধ্যজনিত অসুস্থ হেতু বিহারটির পূর্বের অধ্যক্ষ উপঞ্্ঞা বংশ মহাথেরো চৌধুরী পাড়াস্থ বৌদ্ধ বিহারে অবস্থানকালীন তার শীষ্য উপঞ্্ঞা জ্যোতিকে দক্ষিণ হ্নীলা বড় বৌদ্ধ বিহারে বিহারাধ্যক্ষ হিসাবে উপঞ্্ঞা বংশ মহাথেরো নিজেই দায়িত্ব দেন। মহাথেরো উপঞ্্ঞা জ্যোতি ২১ জানুয়ারী ২০১০ তারিখে পরলোকগত হলে উপঞ্্ঞাওয়ারা ভিক্ষুকে উক্ত বিহারের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। উপঞ্্ঞাওয়ারা উক্ত বিহারে বিহারাধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন কালে ২৬ আগস্ট ২০১০ইং তারিখ বর্ষাবাসের সময় সু-পরিকল্পিত ভাবে ডাকাতি করে উপঞ্্ঞাওয়ারা ভিক্ষুসহ উপাসক লুপ্রু ও মংফোছাকে মারধর করে বিহার ছেড়ে চলে যেতে দুষ্কৃতিকারীরা বাধ্য করে ও হুমকি দেয়। যেহেতু রাখাইন আদিবাসী এবং রাখাইন বসতি হতে উক্ত বৌদ্ধ বিহারের দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেহেতু ভিক্ষুসহ উপাসকগণ প্রাণের ভয়ে উক্ত বিহারে রাতে অবস্থান করা হতে বিরত থাকে। এই সুযোগে মোহাম্মদ আলীর পুত্র ভূমি দস্যু রাশেদ মোহাম্মদ আলী তার পালিত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে বৌদ্ধ বিহার, বুদ্ধ মূর্তি ভাংচুর এবং বিহারের অধীনস্থ পাহাড় হতে শত বর্ষী বড় বড় গাছ কর্তন করতে থাকে। বিহার কমিটি ও দায়ক-দায়িকাগণ উক্ত বৌদ্ধ বিহারে গেলে আশে পাশে লোকজন সন্ত্রাসী গডফাদার রাশেদ মোহাম্মদ আলী এবং তার পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ স্বাক্ষ্য দিতে চায় না। বৌদ্ধ বিহারের পাহাড়টি উক্ত ভূমি দস্যূ, সন্ত্রাসী দল কর্তৃক এমনভাবে নজরদারীতে থাকে যে, উক্ত বিহার ও আশে-পাশে এলাকায তার পালিত সন্ত্রাসী ও সাঙ্গ-পাঙ্গ ছাড়া অন্যান্য লোকজনের প্রবেশ অঘোষিত ভাবে নিষিদ্ধ। উক্ত বিহারের উপাসক-উপাসিকা ও দায়িক দায়িকাগণ নিরাপত্তার অভাবে যেতে পারছে না।
২৬ আগস্ট ২০১০ তারিখ সুপরিকল্পিতভাবে হামলা করে বৌদ্ধ ভিক্ষু সহ ২ জন উপাসককে মারধর ও বিহার ছেড়ে চলে যাবার হুমকির প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে ২৮ আগস্ট ২০১০ আবেদন জানানো হয়। এরপর অধিকতর কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে টেকনাফ থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
বিহার কমিটি সাধারণ সম্পাদক উপরোক্ত ঘটনা সমূহকে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট অবহিত, ডায়েরী ও প্রতিকার চেয়ে পত্র প্রেরণ করা হলে উক্ত সন্ত্রাসী দল আরো বেপরোয়া হয়ে ৮ অক্টোবর ২০১০ ইং তারিখ আরও প্রায় ৪০টি তক্তাসহ বহু মূল্যবান গাছ এবং ২৭ নভেম্বর ২০১০ তারিখ উক্ত বৌদ্ধ বিহারে সিঁড়ি ঘর সহ শতাধিক গাছ খুলে নিয়ে যায়।
৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ গভীর রাতে দু®কৃতিকারীরা প্রায় ৩০টি তক্তা খুলে নিয়ে গেলে ৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখ প্রতিকার চেয়ে টেকনাফ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। বিহার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ক্যজঅং উপরোক্ত ঘটনা সমূহকে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট অবহিত, ডায়েরী ও প্রতিকার চেয়ে পত্র প্রেরণ করলে উক্ত সন্ত্রাসী দল আরো বেপরোয়া হয়ে ৮ অক্টোবর ২০১০ তারিখ আরও প্রায় ৪০টি তক্তাসহ বহু মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। একইভাবে ২৭ নভেম্বর ২০১০ তারিখ উক্ত বৌদ্ধ বিহারের সিঁড়ি ঘরসহ শতাধিক গাছ নিয়ে যায়। বিষয়টি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) জনাব বীর বাহাদুর এমপির সুপারিশসহ ১১১৯২ নং স্মারক ৮/১২/১১ তারিখ মূলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারের নিকট সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
২ ফেব্রুয়ারী ২০১১ তারিখ উক্ত বিহার হতে চুরির যাওয়া মালামাল হ্নীলা চৌমূহনীস্থ জনৈক আবুল হাসেমের দোকান হতে চৌকিদার আবুল হোছন প্রকাশ ভুলুর সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছে। আবুল হাসেমের কর্মচারী হামিদ হোছনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ধৃত মালামাল ছাড়া অন্য সমুদয় মালামাল চুরি, বৌদ্ধ মূর্তি, বৌদ্ধ বিহার ভাংচুর এবং ভিক্ষু সহ ২ উপাসকে মারধর ও হুমকি ব্যাপারে উক্ত ভূমি দস্যূ ও গডফাদার রাশেদ মোহাম্মদ আলীর পালিত সন্ত্রাসীদেরকে দায়ী করা হয়। বিষয়টির বিচার চেয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে টেকনাফ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১১ তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বাতেন বাদী সাধারণ সম্পাদককে টেকনাফে রেখে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান। বিষয়টি সাধারণ সম্পাদক জানতে পেরে টেকনাফ হতে হ্নীলা আসার পথে তদন্তÍকারী কর্মকর্তা ও এ এস আই নায়ারণ সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সাথে দেখা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় বাদীকে সঙ্গে না নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে এস আই বাতেন বলেন, আপনার (বাদী সম্পাদক) দেয়া অভিযোগের অভিযুক্তগণ অস্থানীয় বিধায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। জবাবে বাদী সম্পাদক সুনির্দিষ্ট স্থানে চুরি যাওয়ার মালামাল আছে এবং উক্ত মালামাল উদ্ধার করার দাবী জানালে উক্ত তদন্ত কর্মকর্তা থানা থেকে আবার এসে উদ্ধার করা হবে বলে জানান। বার বার উক্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে এক পর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন। ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১১ তারিখ এক দল সাংবাদিক আক্রান্ত বৌদ্ধ বিহারে পরিদর্শনে গেলে বিষয়টি ব্যাপক আকারে দেশে বিদেশে ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রকাশ পায়। দায়ক-দায়িকাগণসহ বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বলীদের নিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১১ তারিখে মৌন মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
সম্প্রতি ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ সকাল ১০.০০ টায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা বৌদ্ধ বিহারটি প্রভাবশালী ভূমি বেদখলকারীদের কর্তৃক ভূমি দখলের উদ্দ্যেশে আবার আক্রমণের শিকার হয়। ঘটনাটি সংঘটিত হয় রাশেদ মোহাম্মদ, পিতা:মোহাম্মদ আলী (সাবেক সংসদ সদস্য) ও তার দল কর্তৃক। এই আক্রমনে বৌদ্ধ মূর্তি এবং মন্দিরের জিনিসপত্র লুটপাট করা হয় এবং মন্দির ভেঙ্গে তছনছ করা হয়। হাজার হাজার রাখাইন জনগোষ্ঠীর সদস্য এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রার্থনার জন্য ভয়ে বিহাটিতে যেতে পারছেন না।
গত ২০ জানুয়ারী ২০১২ থেকে ২২ জানুয়ারী ২০১২ পর্যন্ত একটি নাগরিক প্রতিনিধি দল কাপেং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সরেজমিন তদন্ত ও মিডিয়া এ্যাডভোকেসির জন্য সেখানে পাঠানো হয়। স্থানটি সরেজামিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় যে বিহারের ছাউনী ও কয়েকটি কাঠের খুঁটি ছাড়া আর বিশেসষ কিছূই অবশিষ্ট নাই।অথচ পূর্বে এ বিহারটিতে ২২ টি কষ্টি পাথরের মূর্তি ছিলো যা বিভিন্ন সময়ে চূরি হয়ে গেছে। উল্লেখ্য যে সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দল সেখানকান অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করে দলটি ফিরে যাওয়ার পর দু®কৃতিকারীদের কর্তৃক ১০-১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয় পরিদর্শকদের ভীতি প্রর্দশনের লক্ষ্যে।
তদন্ত দলটির কাছে ক্ষতিগ্রস্ত বিহারটির প্রহরী মি. লু প্রু বলেন, ডিজিএফআই-এর প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেরার পথে রাস্তায় একা পেয়ে রাশেদ মোহাম্মদ তার সহযোগিদের সহায়তায় আমাকে মারধোর করেন। ঐদিন থেকে আমি ভয়ে কাজে যেতে পারছি না। এর আগেও ডাকাতির সময় মুখোশধারী ডাকাতরা আমাকে চোখে কাপড় বেঁধে পিটিয়েছিলো। ’
ভুমি বেদখলকারী মোহাম্মদ আলীর বড় ছেলে মাহ্বুব মোরশেদ বলেন, ‘২০০১ সালে ভান্তের সাথে আমার বাবার একটি চুক্তি হয়। যার শর্ত ছিলো, আমার বাবা গাছ লাগাবেন এবং লাভের অংশ সমানভাগে ভাগাভাগি করা হবে। আমরা ঐ শর্ত পর্যন্তই সীমাবদ্ধ আছি। জমি দখল করতে চাচ্ছি এ তথ্য ভিত্তিহীন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে, আমরা ঘর-বাড়ী নির্মান করছি। আসলে এখন যে বাঙ্গালীরা ঐ জাযগায় বসবাস করছেন ২০০১ সালের আগে ভান্তে নিজেই তাদেরকে দয়া করে থাকার জায়গা দিয়েছিলেন।’
বিহারটির জমিতে বসবাসকারী জনাব আবদুল্লাহ বলেন, ‘২০ বছর আগে দয়া করে আমার পিতা মির আহমদ মিতুকে এই জমিতে বসবাস করার অনুমতি দেন। এ জমি বিহারের জমি। আর তাই আমাদের জমি ছেড়ে দিতে বললেই আমরা বাধ্য থাকব ছাড়তে।’
বিহারটির বর্তমান তত্বাবধায়ক ভান্তে মি. উকুশলা বলেন, ‘আমি এখন চৌধুরীপাড়ার কেয়াং-এ থাকি। এ বিহারটিতে থাকতে ভয় লাগে, নিরাপত্তা পাচ্ছি না।’
নাগরিক প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট সেলিম মো. জাহাঙ্গীর-এর সাথে দেখা করা হলে তিনি বলেন, ‘তাঁর পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করে সমস্যা সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে।’
এছাড়াও নাগরিক প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. জয়নুল বারী-এর সাথে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।’